আর্দশ স্বামী

– কানিজ ফাতেমা

স্বামীর কাজে স্ত্রী ধরিলে বউটা বড় ভালো
বউয়ের কাজে জামাই ধরলেই সমাজের মুখ কালো।

কথা আমার সত্য কি না দেখতে চাইলে যেচে (যাচাই করে)
দেখতে পার বউয়ের সাথে একটু কাপড় কেচে।

সত্যি যদি বউয়ের সাথে মাজতে বস থাল
সাথে সাথে উঠবে ফুলে পাড়া পড়শির গাল।

সাথে সাথে কানাঘুষার পড়বে এমন সাড়া
কানাঘুষার কাঁপায় কেঁপে উঠবে নগর পাড়া।

তোমায় নিয়ে গল্প হবে বউ ঝিয়েদের ঘাটে
গল্প হবে পাড়ার মোড়ে গাঁও গেরামের হাটে।

হাটে ঘাটে তোমায় নিয়ে নানান কথা হবে
কেউ বা কবে বউয়ের গোলাম দাস বা কেহ কবে।

বউয়ের সাথে বসে যদি কাটতে পার শাক
তোমায় দেখে পাড়া পড়শী কুঁচকাবে তার নাক।

তোমায় দেখে হাসবে পাড়ার ছোট্ট খোকা-খুকি
বয়স্করা মিটি মিটিয়ে করবে চোখাচোখি।

আমাদের এই সমাজ এমন কূ নিয়মে বাঁধা
বউয়ের কাজে জামাই ধরলে সে হয়ে যায় গা*ধা।

আদিম যুগের পুরনো সমাজ নাও শুনে কান খুলে
উঠেছে আজ আলোর অবি আঁধারকে যাও ভুলে।

স্বামী স্ত্রী আজ দুজন মিলেই করবে তাদের কাজ
কোনরকম কানাঘুষা চলবে না কো আজ।

বউয়ের অসুখ সবার সামনে পা দেব আজ টিপে
চুপ হে সমাজ কথা বললে গলা ধরব চেপে।

স্বামীর সেবা করবে আজি তাহার ঘরনি
বউয়ের সেবা স্বামী করবে তোমার তাতে কি।

দূর করিতে নিন্দা করার নিন্দিত জঞ্জাল
সবার সামনে বউয়ের সাথে মাজব ঘরের থাল।

বউয়ের সাথে মাছ কাটিব মাজব ঘরের মেজে
পুরনো নিয়ম ভাঙ্গবো আমিই প্রথম বোকা সেজে।

যত আমায় নিন্দা কর দাওনা যত লাজ
থামব না কো সামনে ছুটে চলব আমি আজ।

পুরনো নিয়ম ভেঙ্গে চুরে গড়তে নতুন প্রথা
লোকের নিন্দা মাখব গায়ে শুনব লোকের কথা।

বুঝিয়ে দেব তারাই আসল সফল স্বামী হয়
বউয়ের লাগি নিন্দা সইতে যে করে না ভয়।